শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নে প্রবাসী ইমরান হাওলাদারের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং পাঁচজনকে আহত করার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার প্রবাসীর মা করিমন নেছা বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০–২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ছাগলে ঘাস খাওয়া’ নিয়ে দড়িকান্দি ও রায়পুর গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে। বিষয়টি কেন্দ্র করে শুক্রবার চন্দ্রপুর বাজারে ইমরান হাওলাদারকে মারধর করেন স্বপন ফকিরসহ কয়েকজন। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইমরানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে তার মা, স্ত্রী, বোনসহ পাঁচজন আহত হন।
আরও পড়ুন
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সন্ত্রাসীরা ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাদের মারধর করে। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘর থেকে নগদ ২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়। অন্তঃসত্ত্বা ইতি বেগম জানান, হামলাকারীরা তাকেও নির্মমভাবে মারধর করেছে। পরিবারের সদস্যরা হামলার বিচার দাবি করেছেন।
অন্যদিকে অভিযুক্তদের দাবি, তারা এ ঘটনায় জড়িত নন। বরং সোমবার চন্দ্রপুর বাজারে প্রবাসী ইমরান হাওলাদারের লোকজন তাদের স্বজন স্বপন ফকিরকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দুলাল ফকির। তিনি জানান, আহত ভাইকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে রয়েছেন এবং থানায় অভিযোগও দিয়েছেন।
চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিরাজ বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে পুরোনো বিরোধ ছিল। প্রবাসী পরিবারের লোকজন প্রথমে বাজারে হামলা করেছিল, তারই প্রতিক্রিয়ায় বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে শোনা যাচ্ছে।
পালং মডেল থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন জানান, উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।