জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিবেশ শান্ত রাখতে গাড়ির হর্ন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে এক ব্যতিক্রমী মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন সৌদি প্রবাসী উমর ফারুক। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে তিনি হাসপাতালে রক্ত দিতে এসেছিলেন, তবে চারপাশের চরম শব্দদূষণ দেখে নিজেই হাতে তুলে নেন একটি ‘হর্ন বাজানো নিষেধ’ লেখা প্লেকার্ড।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা উমর ফারুক সম্প্রতি মাইলস্টোন এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় আহতদের খবর শুনে স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে তিনি লক্ষ্য করেন, হাসপাতালের আশপাশে যানবাহনের ভিড় এবং অবিরাম হর্নের শব্দে রোগীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে যেসব রোগী আগুনে পুড়ে বা দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের জন্য এমন পরিবেশ আরও যন্ত্রণাদায়ক।
এই পরিস্থিতি দেখে উমর ফারুক তাৎক্ষণিকভাবে একটি সাদা কাগজে হ্যান্ডরাইটিংয়ে ‘হর্ন বাজানো নিষেধ’ লিখে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান। তিনি বলেন, “মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই আমি দাঁড়িয়ে আছি। হাসপাতাল এমন একটি জায়গা, যেখানে কোলাহল নয়, শান্তি প্রয়োজন। হর্নের প্রচণ্ড শব্দ দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
আরও পড়ুন
প্রবাসী উমর ফারুক আরও জানান, তিনি শুধু রক্ত দান করতে আসেননি, বরং চান যেন চিকিৎসা নিতে আসা মানুষগুলোর অন্তত পরিবেশগত কিছু কষ্ট লাঘব হয়। “আমি ১০ দিনের জন্য দেশে এসেছি, কিন্তু এই অল্প সময়েও দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই,” বলেন তিনি।
তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন হাসপাতালের অনেক দর্শনার্থী ও কর্মচারীরা। তারা মনে করেন, উমর ফারুকের মতো সচেতন নাগরিকদের অংশগ্রহণেই সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।