নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে হৃদয়বিদারক এক পারিবারিক ঘটনা আলোচনায় এসেছে। প্রবাসী সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সুমাইয়ার আট বছরের সংসার ছিল। দুই ফুটফুটে কন্যাসন্তান নিয়ে গড়ে উঠেছিল সুখের পরিবার। ভবিষ্যতের নিরাপত্তার কথা ভেবে সাইফুল দুই বছর আগে ইতালি পাড়ি জমান। কিন্তু এই ফাঁকে তার স্ত্রী জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়, এবং এক পুলিশ কনস্টেবলের হাত ধরে দুই সন্তান রেখে গত মে মাসে পালিয়ে যান।
ঘটনার পর থেকে সাত ও চার বছর বয়সী দুই কন্যাশিশু মা-বাবার অভাবে অসহায় হয়ে পড়ে। তাদের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রবাসীর বোন। এদিকে সন্তানদের কথা ভেবে প্রবাসী সাইফুল মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি জানান, তার স্ত্রী পল্টন থানার কনস্টেবল আরাফাত আদরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এবং পরবর্তীতে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থসহ পালিয়ে যান। তারা বর্তমানে ঢাকার সবুজবাগ থানার মাদারটেক এলাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের বোন জামাই জানে আলম সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সুমাইয়া, আরাফাত আদর ও তার পরিবারের আরও তিন সদস্যসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন: সুমাইয়ার বাবা হানিফ মিয়া, মা নাজমা বেগম ও বোন হেনা আক্তার। প্রেমিক আরাফাত আদর ডিএমপির পল্টন থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত।
আরও পড়ুন
ঘটনার বিষয়ে আরাফাত আদরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনে পাওয়া যাননি। তবে তার স্ত্রী মোসা. ইমা দাবি করেন, তার স্বামী ওই নারীর সঙ্গে পালিয়ে যাননি এবং বর্তমানে তিনি তার সঙ্গেই আছেন। স্বামী অসুস্থ থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
এদিকে পল্টন থানার ওসি কাজী মুহাম্মদ নাসির উল আমিন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই এবং খোঁজ নিতে হবে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশ সদস্য কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ডিএমপির এক পুলিশ কর্মকর্তা তাদের জানিয়েছেন— সুমাইয়া তার স্বামীকে এ মাসেই তালাক দিয়েছেন।