ঢাকার আশুলিয়ায় চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও মারধরের অভিযোগে বিএনপি নেতা আসাদুল হক দুলালসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন কানাডা প্রবাসী মরিয়ম ইয়াসমিন, যিনি আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে আশুলিয়া থানায় মামলাটি রুজু হয় বলে জানিয়েছেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ মো. মাসুদ আল মামুন।
মামলায় ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক দুলালসহ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. আলম, মো. দেলোয়ার, ছোট নূরা, বড় নূরা, মো. বাবু, মো. ফরিদ ও মো. শাহাদাতসহ অজ্ঞাত ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীর অভিযোগ, এই চক্র তার মালিকানাধীন একটি প্রজেক্টে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে এবং চাঁদা দাবি করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে দুলাল আশুলিয়া এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রবাসী মরিয়মও দাবি করেছেন, এই হামলাগুলো পূর্বপরিকল্পিত এবং তিনি আগেও এসব বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
আরও পড়ুন
এসআই মামুন জানান, গত এক মাসে তিনবার ওই প্রজেক্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ বুধবার দুলালের নেতৃত্বে একদল হামলাকারী সেখানে হাতবোমা বিস্ফোরণ ও গুলি চালিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। পরে তারা অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। প্রজেক্টের সীমানা প্রাচীর ধ্বংস করা হয় এবং কর্মচারীদের বেতন হিসেবে রাখা চার লাখ টাকা লুট করা হয়। পাশাপাশি তারা আরও ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
বাদীর অভিযোগ, মামলা হওয়ার পরও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার না করে রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে। প্রধান অভিযুক্ত দুলাল এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যা তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মামুন জানিয়েছেন, ঘটনাটি একটি জায়গাজমি সংক্রান্ত বিরোধ থেকেও উদ্ভূত হতে পারে। চাঁদাবাজি ও লুটের বিষয়টি তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাবে। অভিযুক্ত দুলালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মোবাইল ফোনে সাড়া মেলেনি।