রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ওমান থেকে চাকরি ও ব্যবসা হারানো নির্যাতিত প্রবাসীরা দেশে ফিরে চার দফা দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘জোরপূর্বক প্রত্যাগত ওমান প্রবাসী ফোরাম’-এর ব্যানারে তারা এ অভিযোগ করেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিগত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অন্তত ২০০ বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক ওমান থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ওমান প্রত্যাগত ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করেন, তিনি সেখানে শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত থাকলেও নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে তাকে ২০২১ সালের মার্চে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জামিনযোগ্য মামলায় গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশ দূতাবাস কোনো সহায়তা না করে বরং বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং হুমকি দেয়া হয় তার পরিবার ও পরিচিতজনদের।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, দূতাবাস কর্মকর্তাদের পরিকল্পনাতেই ওই গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে। জামিন পান ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের নয়, বরং ওমানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সহায়তায়। অন্য প্রবাসীরা অভিযোগ করেন, তারা রাজনৈতিক কারণে হয়রানির শিকার হয়ে জীবিকা হারিয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকের লাখ লাখ টাকার বিনিয়োগ ওমানেই রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন
প্রত্যাগত প্রবাসীরা চার দফা দাবিতে বলেন, ওমানে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের তৎকালীন কর্মকর্তারা এই নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এসব ব্যক্তিদের বিচার এবং প্রবাসীদের চাকরি ও ব্যবসা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
তারা আরও বলেন, রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা প্রতিহিংসামূলক আচরণ করেছেন, যা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে। ওমানের মাবেলা ও বুরাইমিতে ব্যবসা করা দুই প্রবাসী তাদের দেশে ফেরতের আদেশ বাতিলে প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।