সিলেটের জিন্দাবাজারে ‘স্কাই ড্রিম’ নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ইউরোপ পাঠানোর প্রলোভনে শতাধিক তরুণের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. ইমামুল হক বাঁধনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন অন্তত ২০০ জন ভুক্তভোগী। প্রলুব্ধ হয়ে জীবন গড়ার স্বপ্নে অর্থ বিনিয়োগ করলেও শেষমেশ প্রতারণার শিকার হয়ে তারা এখন আর্থিক ও মানসিক বিপর্যয়ের মুখে।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, বিগত দুই বছর ধরে ইমামুল হক চুক্তিপত্র ও নানা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও কেউ বিদেশে যেতে পারেননি এবং টাকা ফেরতও পাননি। অভিযোগকারী মো. জাহেদ আহমদ জানান, তিনি ক্রোয়েশিয়ায় যাওয়ার আশায় চুক্তি করে নগদ ৪০ হাজার টাকা জমা দেন এবং পরে আরও ১ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। তবে ইমামুল যে ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করেন, তা পরে জাল বলে প্রমাণিত হয়।
একই ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন আরও অনেকে। ভুক্তভোগী ইসমাইল জানান, প্রতিটি আবেদনকারী থেকে ১.৫ থেকে ২ লাখ টাকা আদায় করে স্কাই ড্রিম তাদের ইউরোপ পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। গত ৪ জুলাই হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠানটি খোলা দেখে ভুক্তভোগীরা অফিসে গিয়ে ইমামুলকে ধরে ফেলেন।
আরও পড়ুন
জানতে চাইলে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি, অনিয়মে জড়িত অন্যান্য ট্রাভেল এজেন্সির তথ্য সংগ্রহের কাজও শুরু হয়েছে।
প্রতারণার দায়ে আটক ইমামুল হক বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের সহায়তায় তাদের কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পাওয়ার আশায় রয়েছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর তরুণদের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।