বিদায়ী জুন মাসেও রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। দেশটির প্রবাসীরা ওই মাসে ৪৬ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যেখান থেকে এসেছে ৩৬ কোটি ২০ লাখ ডলার, এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া, যেখান থেকে এসেছে ৩৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।
চলতি বছরের মার্চে দেশে এক মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, পবিত্র রমজান উপলক্ষে। এরপর এপ্রিল, মে এবং জুন মাসেও প্রবাসী আয় উল্লেখযোগ্যভাবে অব্যাহত ছিল। মে মাসে ঈদুল আজহার সময় রেমিট্যান্স এসেছে ২৯৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
জুন মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার, যা এপ্রিলের তুলনায় সামান্য বেশি। ওই মাসে যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়ার পাশাপাশি রেমিট্যান্স পাঠানো শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও সিঙ্গাপুর।
আরও পড়ুন
এছাড়া বাহরাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, গ্রিস, জর্ডান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মালদ্বীপ, মরিশাস, স্পেন ও জার্মানি থেকেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রেমিট্যান্স এসেছে। এসব দেশের মধ্যে অনেকেই লাখো ডলারের ওপরে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।
পর্তুগাল, লেবানন, ব্রুনাই, জাপান, ইরাক, পোল্যান্ড, সুইডেন ও সাইপ্রাস থেকেও রেমিট্যান্স এসেছে উল্লেখযোগ্য হারে। অন্যান্য দেশ থেকে মিলিয়ে প্রায় ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে জুন মাসে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে প্রবাসী আয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তবে এই ধারা ধরে রাখতে প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে এবং হুন্ডি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।