মালদ্বীপে নতুন করে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রবাসীদের সতর্ক হতে বলেছে দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশন। এক নির্দেশনায় হাইকমিশন জানিয়েছে, ভিসার ধরন, বেতন, আবাসন ও খাদ্য সুবিধা এবং নিয়োগকর্তার স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই না করলে প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বর্তমানে মালদ্বীপে বসবাসরত অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি প্রত্যাশিত কাজ না পেয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে উন্মুক্ত ভিসায় যাওয়া অনেকেই কাজ কিংবা বৈধ মালিকানাধীন নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চুক্তিমাফিক সুবিধা পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় নতুনদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে হাইকমিশন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, মালদ্বীপে প্রবেশের আগে কর্মপ্রত্যাশীদের নিশ্চিত হতে হবে যে, যেই প্রতিষ্ঠানে তারা কাজ করতে যাচ্ছেন সেখানে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে কিনা। একইসঙ্গে চুক্তিপত্রে উল্লেখিত সুবিধাগুলো বাস্তবে পাওয়া যাবে কি না, তা যাচাই করা জরুরি। এসব তথ্য নিশ্চিত না করে গমন করলে প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
আরও পড়ুন
মালদ্বীপে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নতুনদের উদ্দেশে একই পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে, অনেকে ভুয়া এজেন্সির মাধ্যমে এসে কাজ পাচ্ছেন না, এমনকি পুরোনো কর্মীদের কাছ থেকেও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পাচ্ছেন। তাই যাচাই-বাছাই ছাড়া মালদ্বীপে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ স্পষ্টভাবে জানান, “কারও মুখের কথায় নয়, কেবল নির্ভরযোগ্য নথিপত্র এবং অনুমোদিত ওয়ার্ক পারমিটের ভিত্তিতে মালদ্বীপে আসতে হবে।” তিনি আরও বলেন, ভুলভাবে কর্মী প্রেরণ হলে তা দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, কর্মসংস্থানের আগে সবদিক নিশ্চিত করেই বিদেশ যাত্রা করার পরামর্শ দেন তিনি।