দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে অপসারিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরিতে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে বকেয়া বেতন ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় শরীফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ।” উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে চাকরিচ্যুত করে দুদক। সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, জনস্বার্থে তাকে অপসারণ করা হচ্ছে এবং তিনি বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের বেতন ও প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
চট্টগ্রাম দুদকে কর্মরত অবস্থায় শরীফ উদ্দিন একাধিক আলোচিত দুর্নীতি মামলার তদন্ত করেন। এতে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, এ কারণেই তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পরিবারসহ হত্যার হুমকি পান শরীফ উদ্দিন। এ ঘটনায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। সেই জিডির সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজও জমা দেন।
হাইকোর্টের রায়কে ঘিরে এখন প্রশ্ন উঠেছে—জনস্বার্থের কথা বলে একজন দুর্নীতি তদন্ত কর্মকর্তাকে যেভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল, তা আদৌ কতটা আইনসঙ্গত ছিল। আদালতের এই রায় ভবিষ্যতে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত হওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।