মালয়েশিয়ায় ‘জঙ্গিবাদে জড়িত’ থাকার অভিযোগে ৩ বাংলাদেশি প্রবাসীর বিরুদ্ধে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) ইনটেলিজেন্স শাখার পরিদর্শক মো. আব্দুল বাতেন। মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান আগামী ১১ আগস্ট প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য করেছেন।
জানা গেছে, মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো তিনজন—নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও জাহেদ আহমেদ—কে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের গত শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয় এবং বিমানবন্দর থানায় মামলা অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানানো হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে মালয়েশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সংগঠিত হয়ে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সদস্য সংগ্রহ ও প্রচারণা চালিয়েছেন। অভিযুক্তরা বছরে ৫০০ রিঙ্গিত করে সংগঠনে চাঁদা দিতেন এবং ই-ওয়ালেট ও মানি ট্রান্সফার সার্ভিসের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাঠাতেন।
আরও পড়ুন
মালয়েশিয়ার পুলিশ জানায়, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে এ ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের অধিকাংশই কারখানা, নির্মাণ ও সেবা খাতে কর্মরত ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, এই চক্র আইএস-এর উদ্দেশ্যে অর্থ পাঠাতো এবং অন্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ করছিল।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে, মালয়েশিয়ার পুলিশের বক্তব্য সম্পর্কে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, “বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই ব্যক্তিদের আইএসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ নেই। মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে তারা যদি অপরাধে জড়িত থাকে, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”