রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে নাটকীয়ভাবে সংঘটিত একটি পরিকল্পিত ডাকাতির রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ১ জুলাই বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের মেইন গেটের সামনে এক প্রাইভেট কারের গতিরোধ করে মুখোশধারী সশস্ত্র একটি ডাকাতদল মেসার্স এম এম আয়াত ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের কর্মী তুহিনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা লুট করে নেয়। লুণ্ঠিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যার মধ্যে রয়েছে সৌদি রিয়াল, ওমানি রিয়াল, কুয়েতি দিনার ও আমিরাতি দিরহাম।
ঘটনার পরপরই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ও ডিবি পুলিশের একাধিক দল সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজন হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিরই কর্মচারী মো. তুহিনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তুহিন স্বীকার করে যে, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত একটি ছক, যেখানে সে নিজেই ডাকাত দলের সহযোগী হিসেবে কাজ করে।
তুহিন জানিয়েছে, সে রাইড শেয়ারিং গাড়িতে করে বিদেশি মুদ্রা নিয়ে উত্তরা যাওয়ার সময় হোয়াটসঅ্যাপে তার অবস্থান ভাগ করে নেয় ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ঔষধাগার গেটের কাছে গাড়ির গতি রোধ করে মুদ্রাভর্তি লাগেজ লুট করে এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
আরও পড়ুন
তুহিনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো—তালহা নূর, শারমিন, মো. শাহিন শিকদার, ইয়াসিন আরাফাত, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শুভ হাওলাদার ও তুহিন নিজে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২ লাখ ৬৯ হাজার ২৪০ সৌদি রিয়াল, যার বাজার মূল্য প্রায় ৮৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া যারা এখনো পলাতক রয়েছে, তাদের ধরতে এবং লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অর্থ উদ্ধার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।