কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণগ্রামে ঘটে যাওয়া গৃহবধূ ফেরদৌসি বেগম নয়ন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মাত্র দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া খুনিদের দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারকৃত চার আসামির আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতেই উঠে আসে এ নির্মম ঘটনার বিস্তারিত।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক জানান, নিহত ফেরদৌসি বেগম সৌদি প্রবাসী শামসুল আলমের স্ত্রী। তার সঙ্গে পারিবারিক বিরোধে জড়িত ছিলেন স্বামীর ভাইয়ের স্ত্রী নুরজাহান বেগম। পূর্ববিরোধের জেরে নুরজাহান পরিকল্পিতভাবে এলাকার মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরপর চুক্তির আওতায় মিন্টু ও জিল্লু নামের আরও দুজনকে হত্যাকাণ্ডে যুক্ত করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ জুন সকালে ফেরদৌসি বেগমকে বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগানে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ বস্তাবন্দী করে একটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়। ঘটনার পর থেকেই পরিবার তাকে খুঁজতে থাকে এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। অবশেষে ২ জুলাই স্থানীয়রা ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে মরদেহ শনাক্ত করে পুলিশকে খবর দেয়।
আরও পড়ুন
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নুরজাহান বেগম (৫০), আনোয়ার হোসেন (৩০), রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১) এবং মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু (২৭)। পুলিশ জানায়, এদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মাদক, বিদ্যুৎ চুরি ও অন্যান্য অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় নিহতের কানের দুল ও গলার চেইন তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লা আদালতে তোলা হলে চার আসামিই হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতের নির্দেশে তাদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটি তদন্তাধীন এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।