সরকারি দপ্তরগুলোতে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের বড় একটি অংশ কোনো কার্যকর ভূমিকা না রেখেই বেতন নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, সরকারি অফিসে থাকা কর্মীদের প্রায় অর্ধেকই কার্যত কোনো কাজ করেন না।
বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অনেক অফিসে কেবল সই দেওয়ার জন্যই কিছু লোকজনকে চাকরি দেওয়া হয়, যার প্রয়োজনীয়তা নেই। সরকারি কার্যক্রমে ১০-১২ জনের সিগনেচার বাধ্যতামূলক করা হয়, অথচ তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
ড. আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, “আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫ জন শিক্ষক ছিলেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ২০ জন শিক্ষক দিয়েই পুরো কাজ চালানো সম্ভব ছিল।” তিনি দাবি করেন, দলীয় বিবেচনায় অপ্রয়োজনীয় নিয়োগ দেওয়ার সংস্কৃতিই এ সমস্যার মূল কারণ।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, “সরকারি বিভিন্ন অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন গাড়ি নেই, কম্পিউটার নেই, জনবল কম— এসব অভিযোগের বাস্তবতা নেই। বাস্তবে দেখা যায়, ৫০ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজে নিযুক্তই নন, তারা অলস সময় কাটান।”
সরকারি চাকরির কাঠামো ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, দক্ষ ও কার্যকর জনবল ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। সুতরাং, অদক্ষ ও অনাবশ্যক নিয়োগের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে এবং সম্পদ ব্যবহারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।