প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, বিদেশে কর্মসংস্থান সংকুচিত হওয়ার পেছনে শুধু সরকার বা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর নয়, প্রবাসীদের একাংশের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণও বড় ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, “বাহরাইনে কর্মী পাঠানো বন্ধ হওয়ার পেছনে একটি হত্যাকাণ্ডই বড় কারণ। অনেকেই বিদেশে গিয়ে এমন কাজ করছেন, যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে হাজার হাজার নির্দোষ মানুষকে।”
মঙ্গলবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাপানের শ্রমবাজার : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল জানান, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত কিছু বাংলাদেশি প্রতিনিয়ত সংঘর্ষ, চাঁদাবাজি এমনকি খুন-জখমের মতো অপরাধে জড়াচ্ছেন। এক পর্যায়ে এমনও হয়েছে যে, সৌদি আরবে একটি এলাকায় হাত কেটে ফেলা হলেও কেউ পুলিশকে খবর দেয় না, কারণ পুলিশ নির্দোষ-দোষী কাউকেই ছাড় দেয় না—সবাইকে দেশে ফেরত পাঠায়। এতে কয়েকজনের অপরাধের দায় বহন করতে হয় লক্ষাধিক প্রবাসীকে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, “১০ জন মানুষ খারাপ কাজ করলে তার খেসারত দিতে হয় ১০ হাজার বা ১ লাখ মানুষকে। ভালো কাজ চোখে পড়ে না, কিন্তু একটি অপকর্মই দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করে।”
বিমানের টিকিটের উচ্চমূল্য নিয়েও তিনি কথা বলেন। জানান, ওমরা করতে গিয়ে তিনি টিকিটের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ প্রত্যক্ষ করেন। দেশে ফিরে তিনি বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজরে আনেন, যার প্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তিন দিনের বুকিং নীতিমালা চালু করা হয়। এতে কিছুদিন টিকিটের দাম কমলেও, পরবর্তীতে অসাধু চক্র আবারও তা বাড়িয়ে দেয়।
সবশেষে উপদেষ্টা বলেন, প্রবাসী শ্রমবাজার টিকিয়ে রাখতে হলে প্রবাসীদের আচরণে সচেতনতা জরুরি। একইসঙ্গে যাত্রীসেবা ও ভ্রমণ ব্যয় নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর মনিটরিং প্রয়োজন।