ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় এক নারকীয় ঘটনায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে ঘটে যাওয়া এ নির্মম ঘটনাটি দেশজুড়ে চরম ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্তর প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, অনেকে বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
ঘটনার পরদিন, সোমবার (১ জুলাই) ভুক্তভোগী নারীর স্বামী তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেলসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নারী, ঝর্ণা বেগম, যাকে ইতোমধ্যে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি।
নেটিজেনদের অনেকেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এত ভয়ঙ্কর একটি ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি কেন?” কেউ আবার বলেছেন, “এরা মানুষ না, বর্বর জানোয়ার। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন
মামলার বাদী ও ধর্ষিত নারীর স্বামী জানান, তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। সেই সূত্রে স্থানীয় বাজারে দেখা করতে গেলে অভিযুক্তরা তার কাছে চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে রাতভর তাকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন স্ত্রী ১০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি দিতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দম্পতিকে মারধর করে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, দুপুর ১২টার দিকে তার স্বামীকে বাড়ি থেকে জোর করে বের করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে একটি কক্ষে নিয়ে ফরিদ ও আলাউদ্দিন তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় ঘরের বাইরে পাহারায় ছিলেন তার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী। নারীটি বলেন, “আমি বারবার ভাই বলে ডাকছিলাম, কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি।”
এই ঘটনায় জনগণ দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসন বলছে, তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে। স্থানীয়রা বলছেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে এই ধরনের অপরাধ বারবার ঘটতে থাকবে।