কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীর ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে এবার ভিন্ন চিত্র উঠে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ফজর আলী এবং ভুক্তভোগী নারীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে বহুদিন ধরেই জানা ছিল বলে জানিয়েছেন রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি পূজার রাতে ওই নারী বাড়িতে একা ছিলেন। সে সময় ফজর আলীকে ডেকে আনেন তিনি। বিষয়টি আগে থেকেই আঁচ করতে পেরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সুমনের নেতৃত্বে কয়েকজন ফাঁদ পেতে দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। অভিযুক্ত ফজর আলীকে প্রথমে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয় এবং পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, যদি উদ্ধার করতেই যেত, তাহলে নারীকে ১০-১২ জন মিলে হেনস্তা ও গালিগালাজ করত না। ভিডিও ধারণের উদ্দেশ্যই ছিল অপমান এবং সামাজিকভাবে হেয় করা।
আরও পড়ুন
চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া জানান, ভিডিও ছড়ানোর বিষয়টি অবশ্যই ঘৃণিত এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। যারা এমন ন্যক্কারজনক কাজ করেছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে অভিযুক্ত ফজর আলীর বিচারও কামনা করেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আহত ফজর আলী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুস্থ হলে তাকেও আদালতে হাজির করা হবে। তদন্ত শেষে ঘটনার প্রকৃত চিত্র উন্মোচন করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।