সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন মো. শওকত হোসেন (৩৪)। সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন ১৪ হাজার সৌদি রিয়াল। কিন্তু প্রেমের অভিনব ফাঁদে পড়ে তিনি খুইয়েছেন সব টাকাই। ভুক্তভোগী শওকতের থানায় করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের অভিযানে চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার জঙ্গলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা শওকত হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় রুমা আক্তার নামে এক নারীর। মাত্র ১০ দিনের পরিচয়ের মধ্যে ওই নারী তাকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে ডেকে নেয়। শনিবার বিকেলে শওকত ও তার ভাইকে নগরের পাটগুদাম এলাকার একটি বাসায় নিয়ে গিয়ে খাবার দেওয়ার পর রুমের দরজা বাইরে থেকে আটকে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর দুই যুবক কাঁচি ও ছুরি নিয়ে ঘরে ঢুকে তাদের আঘাত করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়।
শওকতের অভিযোগ, তাদের পকেট থেকে দুটি মোবাইল ফোন, বিদেশি মুদ্রা ও নগদ ১১ হাজার টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। পরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরও ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। চক্রটি ইয়াবা সামনে রেখে ছবি ও ভিডিও তোলে এবং এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভঙ্গিতে ছবি তোলে। এমনকি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নিতে বাধ্য করে।
আরও পড়ুন
ঘটনার পর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত খলিলুর রহমান ওরফে সজল মিয়াকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও ছয়টি মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, খলিলকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এ ঘটনায় রুমা আক্তার ও তার স্বামী রকি মিয়াকেও আসামি করে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন জানান, প্রবাসীর অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ দ্রুত অভিযানে নামে। এই সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্রকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।