ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে প্রবাসীর স্ত্রী নাসরিন আক্তারের পরকীয়ার অভিযোগ ও পরবর্তীতে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত নাসরিন ভূট্রো বাজার এলাকার আব্দুস সালামের মেয়ে এবং তার স্বামী গোলাম রাব্বি কাতারপ্রবাসী। পরকীয়ার অভিযুক্ত প্রেমিক জাহিদুল ইসলাম পেশায় একজন মসজিদের ইমাম এবং দপদপিয়া ইউনিয়নের চরকয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনার পর প্রবাসী স্বামী গোলাম রাব্বি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তিনি জানান, স্ত্রীকে ঢাকায় ভাড়া বাসায় রেখে কাতারে যান। পরে জানতে পারেন, তার স্ত্রী স্থানীয় মসজিদের ইমাম জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এ খবর পেয়ে তিনি কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে গত ১৮ মার্চ দেশে ফিরে আসেন।
দেশে ফিরে তিনি দেখেন, তার স্ত্রী বরিশাল শহরের বেলতলা বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করছেন। এরপরও নাসরিন আবারও প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা ছেড়ে চলে যান। এ ঘটনায় বরিশাল কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় নাসরিনকে ঢাকায় তার বোনের বাসা থেকে খুঁজে বের করা হয়।
আরও পড়ুন
পরবর্তীতে পারিবারিক কারণে তাকে দপদপিয়ায় স্বামীর বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তিনি প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ও কাতার থেকে আনা স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন। গত ৬ জুন তার অবস্থান শনাক্ত করে গোলাম রাব্বি সেখানে পৌঁছালে, নাসরিন ও তার প্রেমিকের সহযোগীরা তাকে ভয়ভীতি ও হামলার হুমকি দেয় এবং জিম্মি করে রাখে।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাসান বিশ্বাসসহ এলাকার লোকজন বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন। পরে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।