গভীর রাতে হঠাৎ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ইসরায়েলের প্রকাশিত একটা মানচিত্র ভিত্তিক ভিডিও। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসিয়াল সোশ্যাল হ্যান্ডেল থেকে প্রকাশিত সেই ভিডিওতে সম্ভাব্য ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিসর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সেই মানচিত্রে ভারতের কাশ্মীর অংশকে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত ও বাংলাদেশের আশেপাশে লাল বৃত্ত অঙ্কন করায় জন্ম হয়েছে নতুন বিতর্ক ও আশঙ্কা।
ভিডিও প্রকাশের সাথে সাথে ভারতের সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। অনেক নেটিজেন প্রশ্ন তুলেছে — “কাশ্মীর কি অপরিবর্তনীয় অংশ না কি বন্ধু তা পাল্টে দিতে পারে?” অপর দিকে, বাংলাদেশের উপরেও লাল চিহ্ন দেওয়ায় এর নিরাপত্তা ও ভূরাজনৈতিক তাৎপর্য নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানচিত্রে বাংলাদেশের উল্লেখ কেবল সামরিক হুমকির প্রকাশই না, এর সাথে রয়েছে রাজনৈতিক ও কৌশলগত বার্তা। বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা, গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র বন্দর এবং চীন ও তুরস্কের সাথে ঘনিষ্ঠতা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলেও মনে করছেন তারা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাথে ইসরায়েলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং বাংলাদেশের পাসপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে তা ইসরায়েলে যাত্রার ক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য।
আরও পড়ুন
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মানচিত্র প্রকাশের মধ্য দিয়ে একটা সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে — নিরপেক্ষতা মানে নিরাপদ হওয়া না। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে তাদের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করার চাপের অংশ হিসেবে এই মানচিত্র প্রকাশিত হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বরাজনীতিতে এই ঘটনা নতুন একটা দাবার চাল হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে বলেও বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করছেন। এর মধ্য দিয়েই প্রকাশ পাচ্ছে যে আগামী দিনগুলোতে দক্ষিণ এশিয়া হতে পারে বিশ্বরাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মঞ্চ — যেখানে অঞ্চলটির দেশগুলোকে অনেক চ্যালেঞ্জ ও চাপের মুখোমুখিতে থাকতে হতে পারে।