মাদারীপুর পৌরসভার কুকরাইল এলাকায় সৌদি নাগরিক ও তার স্ত্রীকে একনজর দেখতে ভিড় জমিয়েছে এলাকাবাসী। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত—সবার মধ্যেই দেখা গেছে আনন্দ-উৎসাহ। এমন প্রাণবন্ত দৃশ্য দেখা গেছে শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে।
সেদিন সৌদি নাগরিক হুমুদ দায়ফাল্লা আলওথাইবি তার স্ত্রী সাহাব মোহাম্মদ গ্রেইনিকে সঙ্গে নিয়ে মাদারীপুর শহরের একটি হোটেল থেকে অটোরিকশায় চড়ে যান বন্ধু সুমন মিয়ার বাড়িতে। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন সুমনের নির্মিত সাততলা ভবন। অতিথিরা জানান, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসে তারা মুগ্ধ হয়েছেন এখানকার পরিবেশ ও মানুষের আতিথেয়তায়।
আরও পড়ুন
জানা গেছে, ২০০১ সালে সৌদি আরবের রিয়াদে ঠিকাদারির কাজ শুরু করেন মাদারীপুরের সুমন মিয়া। সেখানেই পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয় সৌদি ব্যবসায়ী হুমুদের সঙ্গে। বন্ধুত্ব ও ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের সূত্র ধরে দুই দেশের দুই মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠে আন্তরিক সম্পর্ক। ভবন নির্মাণের খবর শুনে হুমুদ নিজে এসে উদ্বোধন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সৌদি অতিথিকে দেখতে উৎসাহী হয়ে এলাকাবাসী ভিড় করেন সুমনের বাড়িতে। আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো। উপস্থিত সবার জন্য আয়োজন করা হয় দুপুরের ভোজ, যেখানে ছিল কাচ্চি, মোরগ পোলাওসহ নানা সুস্বাদু খাবার।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া স্থানীয় শিক্ষক ওবায়দুর রহমান বলেন, “অনুষ্ঠানটি খুবই চমৎকার ও আনন্দময় ছিল।” অতিথি হুমুদ দায়ফাল্লা বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের অতিথিপরায়ণতা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি এবং আমার স্ত্রী অত্যন্ত খুশি হয়েছি। ভবিষ্যতে আবারও আসার ইচ্ছা রইল।”
সৌদি প্রবাসী সুমন মিয়া জানান, “বন্ধুত্বের টানে আমার কফিল নিজেই বাংলাদেশে এসে বাড়ির উদ্বোধন করলেন—এটা আমার জন্য বড় সৌভাগ্য। আমি কৃতজ্ঞ।”