গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “যদি বিএনপি তাদের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারে, তাহলে তারা কীভাবে একটি দেশ পরিচালনা করবে?” বৃহস্পতিবার রাতে নিজ এলাকায় অবরুদ্ধ হওয়ার অভিযোগ তুলে শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে উপজেলা ডাকবাংলোয় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
নুরুল হক অভিযোগ করেন, তার ওপর হামলার পেছনে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ভূমিকা রয়েছে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলায় গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে হামলা হয়। সেই সময় তাকে ও তার নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। তিনি দাবি করেন, বরিশাল ও পটুয়াখালী থেকে ভাড়া করে আনা দুর্বৃত্তরা চাপাতি, রামদা ও ইটভর্তি বস্তা নিয়ে রাস্তায় মহড়া দেয় এবং গাছের গুঁড়ি ও ইট ফেলে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক বলেন, “আমি ছাত্রজীবন থেকে নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এখানে এসেছি। কোনো রাজনৈতিক দলের ‘তোষামোদ’ করিনি। অথচ এখন নিজের এলাকায় লাঞ্ছনার শিকার হতে হচ্ছে।” তিনি আরও দাবি করেন, এসব হামলার দায় উল্টো তার ওপর চাপানো হচ্ছে, যাতে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। নুর বলেন, “বলা হচ্ছে আমার অনুসারীরা বিএনপির অফিসে হামলা চালিয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।”
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, “গত ১৬ বছরে বিএনপি নেতা হাসান মামুন কোনো রাজনৈতিক মামলায় পড়েননি, অথচ আমি ও আমার পরিবার বারবার হয়রানির শিকার হয়েছি। মামুন যদি দলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যান, তাহলে সেটা বিএনপির জন্য বড় ক্ষতির কারণ হবে।”
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা হাসান মামুন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “নুরুল হক উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি একটি ঠিকাদারি কাজ নিয়ে জেলা বিএনপির এক সিনিয়র নেতাকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেছেন, যা তার অনুসারীদের সহিংসতায় প্ররোচিত করেছে।” তিনি আরও বলেন, “এসব ঘটনার জন্য নুরুল হকের বক্তব্য ও রাজনৈতিক কৌশলই দায়ী।”