প্রথমবারের মতো চাঁদে পা রাখতে যাচ্ছেন একজন বাংলাদেশি নারী—নাম রুথবা ইয়াসমিন। স্পেস নেশন আয়োজিত ‘মুন পাইওনিয়র মিশন’-এর অংশ হিসেবে তিনি সফলভাবে মহাকাশ অভিযানের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের ইতিহাসেও এক ব্যতিক্রমী অধ্যায় রচনা করতে যাচ্ছেন।
ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুলে পড়াশোনা করা রুথবা পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট হোলিওক কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আলাবামা থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। মহাকাশের চৌম্বকীয় ঝড় নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েই মহাকাশ অভিযানে আগ্রহ জন্মায় তার।
প্রশিক্ষণ পর্বে রুথবা ছিলেন EVA (Extra Vehicular Activity) স্পেশালিস্ট, যার দায়িত্ব ছিল মহাকাশ স্যুট পরে চাঁদের পৃষ্ঠে হাঁটা, রেডিয়েশন থেকে সুরক্ষা এবং চাঁদের মাটি থেকে সম্পদ আহরণ। চূড়ান্ত অনুশীলনে তিনি ক্রুদের নেতৃত্ব দিয়ে একটি জটিল জীবনরক্ষাকারী সিস্টেম রক্ষায় মাত্র ৬০ সেকেন্ড বাকি থাকতে সফল হন।
আরও পড়ুন
রুথবার মতে, মহাকাশে নারীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। “মাত্র ১১ শতাংশ মহাকাশচারী নারী, এটি পরিবর্তনের সময় এসেছে,” বলেন তিনি। তার লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে গবেষণা, চন্দ্রপৃষ্ঠে নমুনা সংগ্রহ এবং প্রযুক্তি পরীক্ষায় অবদান রাখা। তিনি হতে চান চাঁদে পা রাখা প্রথম বাংলাদেশি নারী।
রুথবার এই অগ্রযাত্রা শুধু একটি ব্যক্তিগত স্বপ্ন নয়—এটি দেশের জন্য গর্ব এবং নতুন প্রজন্মের নারীদের জন্য এক নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণার উৎস। তার সাহস, দক্ষতা ও অঙ্গীকার ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানে নারীদের আরও এগিয়ে যেতে সাহস যোগাবে।