আগামী এপ্রিল মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় দ্বিগুণ বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১০ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধান নির্বাচন যদি ঈদের পরপরই অনুষ্ঠিত হয়, তবে পুরো রমজান মাসজুড়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করেন ফখরুল। তিনি বলেন, “রমজানে প্রার্থীদের প্রতিদিন ইফতার আয়োজন করতে হবে—এটা কোনো রসিকতা নয়, বরং এতে নির্বাচনী ব্যয় অনেক বেশি বেড়ে যাবে। অথচ নির্বাচনী খরচ কমানোর কথাই আমরা সবসময় বলে থাকি।”
তিনি আরও বলেন, এপ্রিলের প্রচণ্ড গরম, ঝড়-বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক আবহাওয়াও নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত নয়। বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতিতে জনসভা ও গণসংযোগ গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই সময়ে জনসমাগমের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। প্রচারণা চালাতে রাতে বৈঠক করতে হতে পারে, যা নির্বাচনী পরিবেশকে কঠিন করে তুলবে।
আরও পড়ুন
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে, এর বাইরে দুইবার ব্যতিক্রম হয়েছে এবং উভয়বারই জটিলতা দেখা গেছে। তিনি আরও বলেন, “অনেকে মনে করতে পারেন আমরা নির্বাচন চাই না, সেটা ভুল ধারণা। আমরা অনেক আগেই বলেছি এই ব্যবস্থায় নির্বাচন চলতে পারে না, তাই ভিশন ২০২৩ দিয়েছিলাম, পরে ৩১ দফাও ঘোষণা করি।”
সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা প্রস্তাব করেছি কেউ যেন টানা দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন। একবার বিরতি দিয়ে আরেকবার দায়িত্ব নেওয়া যেতে পারে, তবে তারপর আর নয়।” এসব প্রস্তাবের লক্ষ্য হলো একটি গণতান্ত্রিক ও টেকসই রাজনৈতিক কাঠামো গঠন করা।