প্রবাসফেরত বাবু মিয়ার সফল খামার, পাহারায় বিদেশি কুকুর

Returnee babu mia's successful farm, guarded by foreign dogs

প্রবাস থেকে ফিরে নিজ গ্রামে সফল খামারি হিসেবে গড়ে উঠেছেন রাজবাড়ীর কালুখালীর গৌরাঙ্গপুর গ্রামের বাবু মিয়া। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিদেশ পাড়ি দিয়ে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইরাকে। তবে বিদেশে আশানুরূপ সাফল্য না পেয়ে দেশে ফিরে সিদ্ধান্ত নেন নিজ এলাকায় কিছু করার। সেই সিদ্ধান্ত থেকেই শুরু হয় গরুর খামার গড়ে তোলার পথচলা।

প্রথমে তিনটি গাভি দিয়ে খামার শুরু করলেও সময়ের সঙ্গে সেটি রূপ নেয় উন্নত জাতের ষাঁড়ের খামারে। বর্তমানে তাঁর ‘তাসফিয়া ডেইরি ফার্মে’ রয়েছে প্রায় ৩০টি দেশি-বিদেশি জাতের ষাঁড়। ব্রাহামা, শাহিওয়াল ও জার্সির মতো উন্নত জাতের ষাঁড়গুলোর ওজন ৫০০ থেকে ১ হাজার কেজি পর্যন্ত। কোরবানির মৌসুমে এসব ষাঁড় বিক্রি হয় ৫ থেকে ১৫ লাখ টাকার মধ্যে।

খামারের নিরাপত্তায় রয়েছে চারটি বিদেশি প্রজাতির কুকুর এবং আধুনিক সিসিটিভি ব্যবস্থাপনা। বাবু মিয়ার ভাষায়, ‘মানুষ বেইমানি করলেও কুকুর করে না।’ প্রতিদিন এই কুকুরগুলোর খাবার খরচ হয় প্রায় ৫০০ টাকা, যাতে থাকে মুরগির মাংস, ভাত ও সবজি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই অতিরিক্ত ব্যয়।

প্রতিমাসে খামার পরিচালনায় বাবু মিয়ার খরচ হয় প্রায় দুই লাখ টাকা। তিনি নিজেই খুঁজে খুঁজে উন্নত জাতের বাছুর সংগ্রহ করেন এবং তাদের প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে লালন করেন। ষাঁড়ের পাশাপাশি খামারে রয়েছে উন্নত জাতের ছাগলও, যা একাধিক ষাঁড় কিনলে ক্রেতাদের উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।

তবে খামারি হিসেবে সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ায় বাবু মিয়া somewhat হতাশ। প্রাণিসম্পদ বিভাগের কোনো সহায়তা পাননি বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, তারা পরামর্শ ও ওষুধ সরবরাহ করেন, তবে বড় ধরনের আর্থিক সহায়তার সুযোগ নেই। তবু বাবু মিয়ার উদ্যোগ এবং সাফল্য স্থানীয়ভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।

আরও দেখুনঃ

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Probashir city web post