বিদেশ থেকে শুল্ক পরিশোধ করে একাধিকবার স্বর্ণ আনাকে নিরুৎসাহিত করতে ব্যাগেজ রুলসে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে সরকার। এখন থেকে যাত্রীরা এই সুবিধার আওতায় বছরে একবারই স্বর্ণ বা রুপার অলংকার ও ধাতব বার আনতে পারবেন। মঙ্গলবার (৩ জুন) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একজন যাত্রী নিজে পরে থাকুক বা না থাকুক, বছরে একবার সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার অথবা ২০০ গ্রাম রুপার অলংকার (একই ধরনের ১২টির বেশি নয়) ঘোষণা দিয়ে শুল্ক ও কর ছাড়া দেশে আনতে পারবেন। তবে এর বাইরে কোনো পরিমাণ আনলে তা জব্দ করা হবে।
এছাড়া ঘোষণা দিয়ে শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে বছরে একবার সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম বা ১০ তোলা স্বর্ণবার এবং ২৩৪ গ্রাম বা ২০ তোলা রুপার বার আমদানির সুযোগ থাকবে। এর অতিরিক্ত পরিমাণ বা লুকানো অবস্থায় আনা স্বর্ণ ও রুপার বার আইনি ব্যবস্থায় বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মতে, বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানির অনুমতি থাকলেও ব্যাগেজ রুলসের মাধ্যমে আনা স্বর্ণ তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় অনেকেই এই পথ ব্যবহার করে। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং চোরাচালানের সুযোগ বাড়ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
২০১৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরও প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি। তথ্য অনুযায়ী, গত চার বছরে বৈধ পথে আমদানি হয়েছে মাত্র ১৪৫ কেজি স্বর্ণ, যা দেশের বার্ষিক চাহিদার এক শতাংশেরও কম। অন্যদিকে, ব্যাগেজ রুলসের আওতায় প্রতিদিন শত কেজির বেশি স্বর্ণ প্রবেশ করায় তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
আগের নিয়মে একজন নারী যাত্রী ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার শুল্কমুক্ত আনতে পারতেন। নতুন নিয়মের ফলে এই সুবিধায় কড়াকড়ি আরোপ করা হলো, যার লক্ষ্য স্বর্ণ আমদানির স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও অবৈধ প্রবেশ রোধ করা।