নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পরকীয়ার ঘটনায় আলোচনায় এসেছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী কামরুন নাহার রুমি (২৩)। বাহরাইন প্রবাসী স্বামী নুরউদ্দিনের অনুপস্থিতিতে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত থাকার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়লে রুমি ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে বসুরহাট-কবিরহাট সড়কের খাজা মার্কেট এলাকা থেকে ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ (২৬) ও তৈয়ব আলী সজীব (২৬) নামে দুই যুবককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরদিন রোববার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ইব্রাহিম বসুরহাট পৌরসভার করালিয়া এলাকার বাসিন্দা এবং সজীব রামদী গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় রুমির সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ইয়াছিন (২৪) নামের এক যুবকের, যিনি রুমির পুরনো মাদ্রাসা সহপাঠী এবং কথিত প্রেমিক। মামলায় সাক্ষী হিসেবে আনা হয় ওমর ফারুক মিরাজ (২৫) নামে আরেকজনকে, যার ইন্টারনেট ব্যবসার আড়ালে ভাড়া করা কক্ষে রুমি ও তার সন্তানকে আটক রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন
স্থানীয় সূত্র জানায়, রুমি তার স্বামীর পরিবারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আলাদা ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। শুক্রবার সকালে প্রেমিক ইয়াছিন তার বাসায় এলে, রুমির চাচাতো ভাইসহ আরও কয়েকজন যুবক তাদের ঘিরে ফেলেন এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। পরবর্তীতে রুমিকে ছেলে সহ খাজা মার্কেটের কক্ষে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী পুরো ঘটনার পেছনের সত্যতা উদঘাটন ও প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।