যশোর শহরের পুরাতনকসবা কাজীপাড়ার কানাডা প্রবাসী মাসুম হোসেন সিদ্দিকী অপহরণ মামলায় আদালত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং পলাতক এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। সোমবার (২ জুন) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোস্তফা হুমায়ুন কবির।
আসামিরা হলেন—যশোর শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড় এলাকার মৃত শফি মিয়ার ছেলে মোমিনুর রহমান বিপুল এবং রেলগেট তেতুলতলা এলাকার গোলাম মহিউদ্দিনের ছেলে ইফতেখার আলম তুষার। এছাড়া মামলার আরেক আসামি, সাভারের ব্যাংক কলোনির হেফজু রহমান বর্তমানে পলাতক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কানাডা-বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক মাসুম হোসেন স্ত্রী শরিফা আক্তারের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর দেশে অবস্থান করছিলেন। ২০২৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাতে বাসার নিচে ভাড়াটিয়ার দোকানে বসে থাকা অবস্থায় একটি মাইক্রোবাসে করে মাসুমকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা তার মোবাইল, মানিব্যাগ ও বাসার চাবি ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে ঢাকা সাভারের একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে আটকে রেখে নির্যাতন করে। পরে পুলিশি সহায়তায় মাসুমকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন
ঘটনার পর ১৪ সেপ্টেম্বর মাসুম আদালতে চারজনকে আসামি করে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার পায় সিআইডি, এবং তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফকরুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
সোমবার মামলার শুনানির ধার্য দিনে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক মোমিনুর রহমান ও ইফতেখার আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি পলাতক আসামি হেফজু রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং আসামি শরিফা আক্তার প্রিয়ার জামিন মঞ্জুর করা হয়।