সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রবাসী শেখ মাসুক মিয়াকে হত্যার দায়ে তার চার সহোদরসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ওসমানীনগরের ফতেহপুর গুপ্তপাড়া গ্রামের শেখ আলফু মিয়া, শেখ পংকী মিয়া, শেখ তোতা মিয়া, শেখ আব্দুর রব ওরফে লেবু মিয়া, পংকীর স্ত্রী লাভলী বেগম, লেবু মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, ফখর উদ্দিন ও হেলাল উদ্দিন ওরফে দিপু মিয়া। দিপু মিয়া এখনও পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৩ জুন দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন প্রবাসফেরত শেখ মাসুক মিয়া। পরদিন স্থানীয় এক ধানক্ষেত থেকে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই তার ভাই আলফু মিয়া অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ওসমানীনগর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন
তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ মাসুকেরই তিন ভাইকে আটক করে। তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, প্রবাসে থাকা অবস্থায় মাসুক যে অর্থ পাঠাতেন, তা দিয়ে ভাইয়েরা নিজেদের নামে জমি কিনে নেন। দেশে ফিরে মাসুক যখন তার প্রাপ্য জমি ফেরত চান, তখনই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এতে দুই ভাবিসহ পরিবারের আরও কয়েকজন সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের মে মাসে পুলিশ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ শুরু করেন। মামলায় ২৯ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত সোমবার এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী এখলাছুর রহমান ও আল আসলাম মুমিন। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল মজিদ খান এবং পলাতক আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারজানা হাবিব চৌধুরী।