পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে দেশে বেড়েছে প্রস্তুতির ব্যস্ততা। এ উৎসব উপলক্ষে পরিবার-পরিজনের জন্য অতিরিক্ত খরচ মেটাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাপকভাবে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, মে মাসের প্রথম ২৪ দিনেই দেশে এসেছে প্রায় ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকার সমান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানিসহ অন্যান্য কেনাকাটা ও পারিবারিক ব্যয়ের জন্য প্রতি বছর এই সময়ে প্রবাসীরা স্বজনদের কাছে বেশি অর্থ পাঠান। ফলে ঈদকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যায়। এ বছরও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা আশাবাদী, মে মাস শেষে নতুন রেমিট্যান্স রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো দিয়ে এসেছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে একটির মাধ্যমে এসেছে ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩৭ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ডলার।
আরও পড়ুন
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। মার্চ মাসে এসেছে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলার। টানা আট মাস ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক সঙ্কেত।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি। কেবল প্রবাসী পরিবারগুলোর আয় বাড়িয়েই থেমে থাকে না, বরং গ্রামীণ অর্থনীতিকেও গতিশীল করে তোলে। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে উৎসাহ দিতে বিভিন্ন প্রণোদনা চালু রেখেছে, যার ফলে হুন্ডির প্রবণতা হ্রাস পাচ্ছে এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর আস্থা বাড়ছে।