হুন্ডি কারবারিদের টার্গেট প্রবাসী আয়

Hundi traders target expatriate income

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগ নেতা, তাদের আত্মীয়স্বজন, এবং কিছু ব্যবসায়ী জড়িত ছিলেন। ঘুষ, দুর্নীতি, কর ফাঁকি ও চোরাচালানের মাধ্যমে অর্জিত এই অর্থ পাচারে হুন্ডি একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, এমএফএস এজেন্ট এবং মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচারে সহায়তা করছে, যা শনাক্ত করা কঠিন হওয়ায় অপরাধীরা আইনের আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, হুন্ডি চক্র প্রবাসীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশে পাঠায়, যা অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। এর ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হুন্ডির কারবারে জড়িতদের একটি বড় অংশ চট্টগ্রামভিত্তিক এবং তারা বাড়ি বাড়ি গিয়েও টাকা পৌঁছে দিচ্ছে। দুটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের এজেন্টরাও এই চক্রে জড়িত।

বাংলাদেশের আর্থিক খাতের শ্বেতপত্র অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধেও হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

বিএমইটি জানায়, দুই কোটির বেশি প্রবাসী শ্রমিক বৈধ পথে টাকা পাঠাতে না পারায় হুন্ডির মাধ্যমে পাঠাতে বাধ্য হন। প্রায় ৫১% টাকা বৈধ পথে এলেও, ৪৯% হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন হয়।

আরও দেখুন:

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Probashir city web post