সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারী প্রবাসীদের জন্য মাসিক সর্বনিম্ন চাঁদার হার ২ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করেছে। একই সাথে, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি পেনশন স্কিমে মাসিক সর্বোচ্চ জমার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
বুধবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় সভায় এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ও পেনশন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, একজন চাঁদাদাতা পেনশন পাওয়ার বয়সে পৌঁছালে তার মোট জমার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ এককালীন নিতে পারবেন। প্রবাস ও প্রগতি পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের আয় কম হওয়ায় তাদের সুবিধার্থে সর্বনিম্ন মাসিক চাঁদা কমানো হয়েছে, এবং বেশি আয় করা প্রগতি স্কিমের অংশগ্রহণকারীদের জন্য মাসিক সর্বোচ্চ জমার সীমা বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আসা সেবাকর্মীদেরও প্রগতি পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যপদ লাভের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে। এছাড়া, টেলিভিশন, টকশো, আন্তর্জাতিক খেলার সম্প্রচার এবং প্রিন্ট মিডিয়ায়ও বিজ্ঞাপন জোরদার করা হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের একটি ইসলামিক সংস্করণ চালু করার সম্ভাবনাও যাচাই করা হচ্ছে।