ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ হঠাৎ করেই ছুটিতে গেছেন। তিনি গত ১১ মে সকালে দুবাই হয়ে ইসলামাবাদ অভিমুখে ঢাকা ত্যাগ করেন। একই দিনে পাকিস্তান হাইকমিশন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সৈয়দ মারুফের ঢাকায় অনুপস্থিতির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করে। আজ মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রচলিত কূটনৈতিক রীতি অনুযায়ী, কোনো রাষ্ট্রদূত যখন তার কর্মকালীন সময়ে ছুটিতে যান, তখন তিনি স্বাগতিক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে অবগত করেন। রাষ্ট্রদূত কতদিন ছুটিতে থাকবেন এবং তার অনুপস্থিতিতে কে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করবেন, সেটিও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পাকিস্তান হাইকমিশন ১১ মে থেকে সৈয়দ মারুফের ছুটিতে থাকার বিষয়টি জানিয়েছে। তার অনুপস্থিতকালে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের উপহাইকমিশনার মুহাম্মদ আসিফ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, হাইকমিশন সৈয়দ মারুফের ছুটির মেয়াদ সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট তথ্য জানায়নি। পরবর্তীতে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে যে তিনি দুই সপ্তাহের জন্য ছুটিতে থাকবেন।
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সৈয়দ মারুফ ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত বৈঠক করতেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সফর আয়োজনেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। গত নয় মাসে সৈয়দ মারুফ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা সফর করেছেন এবং সর্বশেষ ৯ মে তিনি কক্সবাজার যান। এই ‘অত্যন্ত সক্রিয়’ কূটনীতিকের আকস্মিক ছুটি কূটনৈতিক মহলে কৌতূহল ও জল্পনার সৃষ্টি করেছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সৈয়দ মারুফ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।