বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় কারাগারে আটক ৪০ বিডিআর জওয়ানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার আদালত ৮ মে এই আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, আসামিদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছেন। আদালত নথিপত্র যাচাই করে সন্তুষ্ট হয়ে ৪০ জনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং বাকিদের নামঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া আসামিদের নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে, ১৯ ও ২৩ জানুয়ারি একই আদালত ১৭৮ জন বিডিআর জওয়ানকে জামিন দেন।
আরও পড়ুন
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট আপিলের রায় দেন। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরও ২২৮ জনকে দেয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন। হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষও ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। এসব আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়। ২০১০ সালে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজও শুরু হয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এ হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য সরকার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আলম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করেছে।