ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল করে সেখানে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার দুপুরে এনসিপির স্থানীয় প্রতিনিধি দাবি করা অহিদ ফয়সালের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের কার্যালয়টিতে প্রবেশ করে তাদের দলীয় কার্যক্রম শুরু করেন। তারা ভবনের বাইরে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি, চরফ্যাশন উপজেলা কার্যালয়’ লেখা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন এবং ভবনের ছাদে মাইক লাগিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ তাদের বিচারের দাবিতে প্রচারণা চালান।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, চরফ্যাশন উপজেলা শহরের কলেজ রোডে অবস্থিত তিনতলা বিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের এই দলীয় কার্যালয়টি প্রায় ২০০০ সালের দিকে নির্মিত হয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেলে কার্যালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এর আগে কার্যালয়টিতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার আওয়ামী লীগ কর্মী মাহমুদুল হাসান সাকিব বলেন, ভবনটি আওয়ামী লীগের নিজস্ব জমিতে নির্মিত দলীয় কার্যালয়। গত ৫ আগস্টের পর থেকে কার্যালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা আমাদের কার্যালয়ে তাদের সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে।
তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চরফ্যাশন উপজেলার প্রতিনিধি দাবি করা অহিদ ফয়সাল জানান, এখন থেকে চরফ্যাশন উপজেলা এনসিপির দলীয় কার্যক্রম এই কার্যালয় থেকে চলবে। তার দাবি, ভবনটি সরকারি খাস জমিতে নির্মিত।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং কাগজপত্র দেখে কার্যালয়টি খাস জমিতে নির্মিত কিনা তা জানতে পারবেন। আগামী ২-৪ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।