পবিত্র হজ ১৪৪৬ হিজরি পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন এক হাজার দুইশত চব্বিশ জন হজযাত্রী। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ঢাকার আশকোনা হজ অফিস।
সোমবার, রাজধানী ঢাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে এই বছরের হজ ফ্লাইটের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর সোমবার দিবাগত রাত দুইটা পনেরো মিনিটে সাউদিয়ার প্রথম ফ্লাইট (এসভি ৩৮০৩) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এই ফ্লাইটে মোট তিনশত আটানব্বই জন হজযাত্রী ছিলেন। গতকাল দিনের বাকি সাতটি ফ্লাইটে আরও দুই হাজার নয়শত বারোজন হজযাত্রীর সৌদি আরবে যাওয়ার কথা রয়েছে। এ পর্যন্ত মোট চৌষট্টি হাজার দুইশত আশি জন হজযাত্রীর ভিসাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে।
সোমবার রাত এবং মঙ্গলবার ভোরে আরও কয়েকটি ফ্লাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশি হজযাত্রীরা সৌদি আরবের পথে যাত্রা করেছেন। প্রথম দিনে মোট দশটি ফ্লাইটে চার হাজার একশত আশি জন হজযাত্রীর সৌদি আরবে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইটের হজযাত্রীরা জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং দুইটি ফ্লাইটের হজযাত্রীরা মদিনার প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
আরও পড়ুন
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর তিনটি উড়োজাহাজ সংস্থা মোট দুইশত বত্রিশটি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের পরিবহন করবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস একশত আঠারোটি ফ্লাইটে চুয়াল্লিশ হাজার তিনশত সাত জন, সাউদিয়া আশিটি ফ্লাইটে বত্রিশ হাজার সাতশত চল্লিশ জন এবং ফ্লাইনাস চৌত্রিশটি ফ্লাইটে তেরো হাজার পঁয়ষট্টি জন হজযাত্রী পরিবহন করবে। আগামী একত্রিশে মে প্রাক-হজ ফ্লাইট সম্পন্ন হবে এবং দশই জুন থেকে ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হবে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট সাতাশি হাজার একশত জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার দুইশত জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং একাশি হাজার নয়শত জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী পাঁচই জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও আধুনিক ও সহজ করার লক্ষ্যে এ বছর হজযাত্রীদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করা হয়েছে, যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, হজযাত্রীদের হজ প্রিপেইড কার্ড ও মোবাইল সিমের রোমিং সুবিধাও প্রদান করা হচ্ছে।
হজ ফ্লাইট আগামী একত্রিশে মে পর্যন্ত চলবে এবং ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে দশই জুন। চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে আগামী পাঁচই জুন হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।