পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত মামুন সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত ছিলেন। রবিবার (২৭ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের বর্হিগমন বিভাগ-৪ থেকে তার বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এ প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় চার্জশিট আদালতে গৃহীত হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৩৯(২) ধারা অনুযায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ারও নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্তে উঠে এসেছে, ঢাকার বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে দায়িত্ব পালনকালে আব্দুল্লাহ আল মামুন কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করতেন। তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠতার কারণে দাপট দেখাতেন এবং উর্ধ্বতনদের আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানাতেন। এমনকি মহাপরিচালকের নির্দেশ অমান্য করে অতিরিক্ত মহাপরিচালককে মামলা করার হুমকিও দেন। তার বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা রয়েছে এবং চার্জশিটও দাখিল হয়েছে।
আরও পড়ুন
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে অধিদফতরের সভায় রীতিমতো হৈচৈ করা এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ প্রদর্শন। এছাড়া, মাল্টিপল পাসপোর্ট ইস্যুর বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন সংক্রান্ত নির্দেশনার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনাও করেছেন তিনি। এই সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অধিদফতর তাকে বদলি করে সিলেট পাঠায় এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।
এছাড়া, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে অবৈধ পাসপোর্ট ইস্যুর অভিযোগেও আব্দুল্লাহ আল মামুন দুদকের দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি। তার বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।