কুড়িগ্রামের চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার সাতজন জেলে ভারতের জিঞ্জিরাম নদী পেরিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফের হাতে আটক হয়ে ভারতীয় হাজতে রয়েছেন। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে আটক থাকা এসব জেলের খোঁজ মিলেছে সম্প্রতি গোপনে পাঠানো একটি চিঠির মাধ্যমে, যা পৌঁছে যায় এক জেলের স্ত্রীর হাতে।
২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর তারা মাছ ধরতে বের হন এবং এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। ভারতীয় সীমান্তবর্তী রাজ্যের মেঘালয়ের আমপাতি জেলার মাহিন্দগঞ্জ থানার তুরা থানার অধীন কালাইর চর পেট্রোল থানায় তারা আটক রয়েছেন বলে জানা গেছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন রাসেল মিয়া, বিপ্লব মিয়া, মীর জাহান আলী, বকুল মিয়া, আমির আলী, আঙ্গুর হোসেন ও চাঁন মিয়া।
পরিবারের সদস্যরা জানান, এসব জেলে কয়েক বছর ধরে বৈধ পথে ভারতে গিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক জটিলতার কারণে এবার তারা বৈধ অনুমতি না পেয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেন এবং বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। চিঠিতে জানানো হয়েছে, চলতি মাসেই তাদের জামিন না হলে স্থায়ী সাজা হতে পারে।
আরও পড়ুন
আটক জেলেদের পরিবারগুলো এখন চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। খাদ্যাভাবে অনেক পরিবারে অভাব দেখা দিয়েছে। জেলে মীর জাহান আলীর স্ত্রী ববিতা বেগম জানান, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সন্তানের মুখে ঠিকমতো খাবার দিতে পারছেন না। অপর এক জেলে কাজলী বেগম বলেন, তার স্বামী প্রতিবছর বৈধভাবে যেতেন, এবার অবৈধভাবে গিয়েই ধরা পড়েন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে এবং জেলেদের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি নেই, ফলে পরিবারগুলোর উদ্বেগ কাটছে না।