শরীয়তপুরের নড়িয়া রাজনগর হাসেরকান্দি এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহাঙ্গীর মাদবরের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিলে, সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে তার স্ত্রী হালিমা বেগম ও তার স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে মারধর, ধর্ষণচেষ্টা ও বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত জালাল দেওয়ান।
অভিযোগ সূত্রে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহাঙ্গীর মাদবরের স্ত্রী হালিমা বেগম তিন মেয়ে ও দুই বছরের এক ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হাসেরকান্দি গ্রামে নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। সুযোগ পেয়ে একই এলাকার নুরু দেওয়ানের ছেলে জালাল দেওয়ান (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছেন হালিমা বেগমকে। বিষয়টি হালিমা বেগমের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে অভিযোগ করলে দুর্বৃত্তরা হালিমা বেগমকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই ঘটনার জের ধরে জালাল উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন প্রথমে হালিমা বেগমকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল, ঘরে ঢুকে তাকে ও তার মেয়েকে মারধর, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণচেষ্টা এবং পরে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট করে।
আরও পড়ুন
এ সময় গৃহবধূ ও তার মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গৃহবধূকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আর মেয়েকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে গৃহবধূ হালিমা বেগমের ভাই হুমায়ন বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় নুরু দেওয়ানের ছেলে জাহাঙ্গীরসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করে নড়িয়া থানায়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গৃহবধূ হালিমা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে জালাল দেওয়ান তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল, তার প্রস্তাবে রাজি না হলে তার ওপর এ হামলা চালিয়েছে বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত জালাল দেওয়ান ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। তাকে তার বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।