দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা আওয়ামী লীগ বর্তমানে দৃশ্যপটের বাইরে অবস্থান করছে। জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক চাপের কারণে দলটি শিগগিরই ক্ষমতার রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারছে না। গত সাত মাস ধরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্কও স্বাভাবিক হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ দেখা যাচ্ছে।
ইসলামপন্থী দলগুলো এবং গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সংগঠনগুলি কট্টর বিরোধিতায় নেমেছে, যা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এই জটিল পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশ ভারতও বিপাকে পড়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারত আওয়ামী লীগের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রক্ষার বাস্তবতা মেনে নিচ্ছে এবং নতুন কৌশল গ্রহণ করছে।
সূত্রমতে, ভারত আগামী দিনগুলোতে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। দিল্লি আশা করছে, বিএনপির মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা পাবে। ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানও এই বিষয়টি ইঙ্গিত করেছেন। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, “ঢাকা ও দিল্লির সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই।”
এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও তাদের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষায় বিএনপির ওপর ভরসা রাখতে চাইছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী দিকে মোড় নেয়, তা এখন সবার কৌতূহলের বিষয়।
আরও পড়ুন