গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা যেন জনজীবনকে বিষাক্ত করে তুলেছে। সম্প্রতি, বাবা-মাকে অচেতন করে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়া এক শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা স্তম্ভিত করেছে দেশবাসীকে।
এছাড়াও, প্রেমের ছলনায় ফেলে দুই বন্ধুর দ্বারা এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ সমাজের গভীরে থাকা অন্ধকার দিকটি আরও একবার উন্মোচিত করেছে।
এই পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, যেখানে অনেকেই ‘হারকিউলিস’-এর মতো গুপ্তঘাতকের প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জানাচ্ছেন। তাদের বিশ্বাস, হারকিউলিসই পারবে ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে।
আরও পড়ুন
কিন্তু কে এই হারকিউলিস? ২০১৯ সালে এই নামটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। ধর্ষকদের একের পর এক নৃশংসভাবে খুন করে সে, আর রেখে যেত একটি রহস্যময় চিরকুট। সেখানে লেখা থাকত, “আমি ধর্ষক, ধর্ষণের পরিণতি এটাই। ধর্ষকরা সাবধান! ইতি হারকিউলিস।” হারকিউলিসের পরিচয় আজও অজানা, তার মামলাটি এখনও অমীমাংসিত। তবে সেই সময় অনেকেই গ্রিক পুরাণের ন্যায়বিচারক হারকিউলিসের ছায়া খুঁজে পেয়েছিল এই গুপ্তঘাতকের মধ্যে।
দীর্ঘ ছয় বছর পর, আবারও হারকিউলিসের নাম ঘুরে ফিরে আসছে মানুষের মুখে। সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনরা তাকে পুনরায় দেখতে চাইছে, মনে করছে হারকিউলিস ফিরে এলেই বুঝি ধর্ষকদের বিচার হবে।
তবে, অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার জন্য দেশে আইন ও বিচারব্যবস্থা রয়েছে। আইনের বাইরে গিয়ে বিচার বা নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া সম্পূর্ণরূপে অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কখনওই আইনের শাসনের বিকল্প হতে পারে না। তাই, আইনের পথেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ধৈর্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোই সমাজের জন্য মঙ্গলজনক।