দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করা সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইলিয়াস হোসাইন অবশেষে দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন।
পোস্টে তিনি ২০১৩-১৪ সালের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন, যখন বিএনপি-জামায়াত জোট নিষিদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল এবং যৌথ অভিযানের নামে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের পাখির মতো গুলি করে মারা হতো।
তিনি সে সময়কার হরতাল-অবরোধের চিত্রও তুলে ধরেন, যেখানে সড়কের মোড়ে মোড়ে সশস্ত্র মহড়া চলত এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা পিকেটারদের মারধর করত।
ইলিয়াস হোসাইন আরও উল্লেখ করেন যে, সেই পরিস্থিতিতেও বিএনপি-জামায়াতের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং হতো, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা পুলিশি পাহারায় “খেলা হবে” বলে হুমকি দিতেন।
আরও পড়ুন
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সেই বাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দিলেও আওয়ামী লীগ বা তাদের অঙ্গ সংগঠন একটি ছোট মিছিল করারও সাহস দেখায়নি। অথচ এখন তারা সাহস দেখাচ্ছে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের ইঙ্গিত করে বলেন, যারা দেশের বাইরে থেকে হুমকি দিচ্ছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে হাসিনা অধ্যায় শেষ।
তিনি আরও বলেন, হুমকি-ধামকি দিলে আগামীতে বিপদ হবে এবং “অপারেশন টুঙ্গিপাড়া” চালানো হবে। খেলতে চাইলে তিনি দেশে আসার আহ্বান জানান এবং জানান যে তারা সবাই দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে তিনি কাদের সঙ্গে আসছেন, তা উল্লেখ করেননি। ধারণা করা হচ্ছে, পিনাকী ভট্টাচার্যের মতো আরও কয়েকজন শীঘ্রই দেশে ফিরতে পারেন।
ইলিয়াস হোসাইনের এই ঘোষণা রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং তার দেশে ফেরা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা শুরু হয়েছে।