সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিকে অপহরণের পর ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পর বাংলাদেশ থেকে সংঘবদ্ধ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আকরাম (৩৩), মো. ইসমাঈল হোসেন (৩৪) ও মজিব রহমান নিলয় (২৬)।
ভুক্তভুগীর শ্বশুরের করা মামলায় গত বুধ ও বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে খিলগাঁও থানা পুলিশ। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আকরামের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা ১২ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দাউদ হোসেন ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন
মামলার বাদী মো. কামরুল ইসলাম (৪৮) অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে এজাহারে বলেন, তার মেয়ের জামাই রাসেল (৪৫) দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সৌদি আরবে বসবাস করছেন এবং সেখানে তার নিজের ভাঙ্গারির ব্যবসা রয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি সকালে অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরিকল্পিতভাবে রাসেলকে সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে অপহরণ করে তার বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ফোন দিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে অজ্ঞাতনামা আসামিদের মুক্তিপণ বাবদ বিকাশের মাধ্যমে ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও ব্যাংকের মাধ্যমে ২৫ লাখ টাকা পাঠানো হয়। টাকা পেয়ে আসামিরা রাসেলকে সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে তার হাতের ছাপ এবং আকামা আইডি নিয়ে খুন ও জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর শ্বশুরের করা মামলাটির তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা সঙ্গীয় ফোর্সসহ লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানা এলাকা থেকে রামগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় সিরন্দী গ্রাম থেকে আকরামকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে এবং তার নামে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা ১২ লাখ টাকা ফ্রিজ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর বাজার থেকে ইসমাঈল হোসেন (৩৪) ও নাসিরনগর থানার রতনপুর থেকে মজিব রহমান নিলয়কে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়।