হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের হেনস্তার ঘটনায় একের পর এক বিতর্ক সামনে আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশি প্রবাসী নরওয়ের চার নাগরিক এবং এক বাংলাদেশি যাত্রীর হেনস্তার ঘটনার পর এবার আরেক প্রবাসীকে হয়রানির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) গতকাল শনিবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে।
বেবিচকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে গত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন টার্কিশ এয়ারলাইন্সের স্টাফ শামস উদ্দীন এক যাত্রীর অতিরিক্ত ওজনের লাগেজ নিয়ে সমস্যা সমাধানে কাজ করছিলেন। যাত্রী এবং তাঁর পরিবারের মোট পাঁচ সদস্য লন্ডনগামী ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল হয়ে ভ্রমণ করছিলেন। চেক-ইনের সময় তাঁদের এক ব্যাগে অতিরিক্ত ২৪ কেজি ওজনের কাঁচা শাকসবজি পাওয়া যায়। এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের মালামাল বহন করতে নিষেধ করা হলে যাত্রী তা কেবিন লাগেজে স্থানান্তর করেন।
ফ্লাইটে ওঠার আগমুহূর্তে কেবিন লাগেজে থাকা সবজিগুলো পুনরায় ধরা পড়ে। এয়ারলাইন্স স্টাফের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যাত্রী বোর্ডিং ব্রিজে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। এ সময় যাত্রীরা অভিযোগ করেন যে, তাঁদের হেনস্তা করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন
বেবিচকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুযায়ী, যাত্রীদের সর্বোচ্চ ৭ কেজি ওজনের হ্যান্ড লাগেজ বহন করার অনুমতি রয়েছে। অতিরিক্ত ওজনের জন্য স্টাফ বাধা দিলে যাত্রীদের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয়।
এদিকে, এর আগে ৮ জানুয়ারি ঘটে যাওয়া আরেকটি ঘটনায় নরওয়ের চারজন এবং এক বাংলাদেশি যাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠে। এতে নরওয়ের এক নাগরিককে শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এ ঘটনায় বিমানবাহিনীর কুইক রেসপন্স ফোর্স (কিউআরএফ) এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা জড়িত ছিলেন।
এই ধারাবাহিক ঘটনা দেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং যাত্রী সেবার মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। তবে বেবিচক বলছে, যাত্রীদের সঙ্গে শালীন আচরণ নিশ্চিত করতে তারা কাজ করে যাচ্ছে।