সৌদি প্রবাসী রফিকের (৩০) পরিবারের বসবাস বরিশাল শহরে। দীর্ঘদিন সৌদি থাকার পরে ছুটিতে দেশে ফিরেছেন রফিক। বিদেশ থেকে কারো আগমন মানের আত্মীয় পরিজনের অনেক প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণে শ্বশুরবাড়ির জন্য উপহার এনেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন এই উপহারে তার ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে যখন তার শ্বশুরের জন্য আনা উপহারটি খোলা হয়।
শ্বশুরের জন্য এই প্রবাসি উপহার হিসেবে নিয়ে এসেছিলেন উন্নত মানের কাফনের কাপড়। কেননা তিনি ভেবেছিলেন, এটি একটি পবিত্র এবং চিরন্তন উপহার, যা মৃত্যুপরবর্তী জীবনেও কাজে লাগবে। তবে এই উপহার যে কাল হয়ে দাঁড়াবে সাংসারিক জীবনে বুঝতেই পারেননি রফিক। শ্বশুরবাড়ির লোকজন অবাক হয়ে যান। রফিকের স্ত্রী শিলা (২৫) বিষয়টিকে অবমাননা হিসেবে ধরে নেন। শিলা রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন, “তুমি কীভাবে আমার বাবার জন্য এমন উপহার আনতে পারলে? এর মানে কি তুমি তার মৃত্যু কামনা করছ?
নানাভাবে শিলাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন রফিক তবে শিলার রাগ থামেনি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে, পরিবারের মধ্যস্থতাকারীরাও বিষয়টি মিটমাট করতে ব্যর্থ হন। শেষমেশ শিলা রফিককে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমন ঘটনায় এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্যের। গ্রামের লোকজনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ রফিকের পক্ষে কথা বলছেন, আবার কেউ শিলার প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করছেন। এ ঘটনায় রফিক হতাশ হয়ে বলেন, “আমি শুধু ভালো কিছু করতে চেয়েছিলাম। কখনো ভাবিনি, এটি এমন পরিণতি বয়ে আনবে।