বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুই কেবিন ক্রুর কাছ থেকে মদ জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (তারিখ) দুপুরে ম্যানচেস্টার থেকে ঢাকায় আসা ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুই ক্রু হলেন নুসরাত জাহান তিথি ও আব্দুল্লাহ আল আবু বকর তাবরেজ। তল্লাশির সময় তাদের লাগেজ থেকে মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মদের পরিমাণ কম থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা কাস্টমস হাউস সূত্র জানিয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কেবিন ক্রুদের মধ্যে মদ ও বিয়ার আনার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার ফ্লাইট অবতরণের পর গ্রীন চ্যানেল দিয়ে পার হওয়ার সময় কয়েকজন ক্রুর আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদের লাগেজ তল্লাশি করা হয়। এতে মদের বোতলগুলো উদ্ধার হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্তরা বিব্রত হন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার বিল্লাল হোসেন বলেন, “নুসরাত জাহান তিথি ও আব্দুল্লাহ আল আবু বকর তাবরেজের কাছ থেকে মদ উদ্ধার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের প্রবণতা বেড়েছে। তবে প্রতিদিন এত বেশি মদ জব্দ হয় যে, গ্রেফতার করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। প্রতিদিন গড়ে ২০০ জনকে গ্রেফতার করতে হতে পারে।”
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. সাফিকুর রহমান জানিয়েছেন, “ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। অভিযুক্তদের বরখাস্তের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আমরা মঙ্গলবার (তারিখ) থেকে প্রতিটি ফ্লাইটে র্যান্ডম চেকিং শুরু করব। ভবিষ্যতে কোনো ক্রুর কাছ থেকে মাদক বা স্বর্ণ জব্দ হলে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আমাদের নীতিতে কোনো ধরনের আপস নেই।”
আরও পড়ুন
তিনি আরও জানান, মাস দেড়েক আগেও একজন কেবিন ক্রু একই ধরনের অপরাধে ধরা পড়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অপরাধ দমনে কর্তৃপক্ষ আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।