আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক শুক্রবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তায় সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত সরকার শেখ হাসিনাকে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নানক বলেন, “আন্দোলনের সময় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর ধারাবাহিকতায় সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। দুর্নীতির প্রমাণ ধ্বংস করতেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়েছে কিনা, তা জাতির কাছে প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর দোষ চাপানোর ষড়যন্ত্র করছে। এ ঘটনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সচিবালয়ের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নষ্ট করার অপচেষ্টা নিয়ে নানক বলেন, “বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ওরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। জনদুর্ভোগ কমিয়ে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত।”
ছাত্রলীগের শিক্ষাজীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। বিনা কারণে যাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তাদের পুনর্বহাল করতে হবে।”
ইজতেমা ময়দানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতি এখনো উত্তর চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যার সংস্কৃতি বন্ধের আহ্বান জানান।
নানক তার বার্তা শেষ করেন এই বলে, “বাংলাদেশের মানুষকে আবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের আর বসে থাকার সুযোগ নেই। আসুন প্রতিবাদ করি, প্রতিরোধ গড়ে তুলি।”