ভারতে পলাতক থাকা ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশ হত্যা ও জঙ্গি ছিনতাই মামলার প্রধান আসামি রহমতউল্লাহসহ সাত বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা রহমতউল্লাহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। তিনি ঢাকার দারুসসালাম থানা ও ময়মনসিংহের ত্রিশালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের দুটি মামলার অন্যতম আসামি। ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে তাকে সহযোগীরা ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে রহমতউল্লাহ ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখানকার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূঞা জানান, রহমতউল্লাহর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাকে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে সেখানকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভালো কাজের প্রলোভনে অবৈধ পথে ভারতে গিয়েছিলেন বাকি ছয়জন। তারা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ভারতের কারাগারে বন্দি ছিলেন। এদের মধ্যে পাঁচজন পটুয়াখালীর এবং একজন দিনাজপুরের বাসিন্দা। একজন নারীসহ এই ছয়জনকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন
বেনাপোল বন্দর থানার ওসি রাসেল মিয়া জানান, “কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন এই ছয়জন। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।”
২০১৪ সালের ত্রিশালের আলোচিত ঘটনায়, প্রিজন ভ্যানে বোমা হামলা চালিয়ে তিন জেএমবি সদস্যকে ছিনিয়ে নেয় তাদের সহযোগীরা। এই ঘটনায় পুলিশের এক সদস্য নিহত হন। দীর্ঘদিন ভারতে আত্মগোপনে থাকা রহমতউল্লাহর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তথ্য নিশ্চিত করে।
এ ঘটনার পর দুই দেশের সহযোগিতায় রহমতউল্লাহসহ বাকি ছয়জনকে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফেরত আসা ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরও দেখুনঃ