বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৪,০০০ থেকে ৬,০০০ কর্মী সৌদি আরবে পাড়ি জমাচ্ছেন। গত এক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ দিয়েছে ৮৩,০০০ কর্মী, যা মাসিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে একটি নজিরবিহীন রেকর্ড।
সৌদি আরব তাদের উচ্চাভিলাষী ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মেগা প্রকল্পগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। দেশটি ২০৩৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপ এবং ২০৩০ সালে রিয়াদ এক্সপোর মতো হাই-প্রোফাইল ইভেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পাশাপাশি বিমানবন্দর, রেলপথ এবং স্পোর্টস স্টেডিয়ামের মতো বিশাল অবকাঠামো প্রকল্পও হাতে নিয়েছে। এসব উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য বৈচিত্র্যময় শ্রমশক্তি প্রয়োজন হচ্ছে।
সৌদি আরবের শ্রমশক্তির একটি বড় অংশ বাংলাদেশ থেকে আসছে। বাংলাদেশের প্রতি সৌদি আরবের আন্তরিকতার উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি দেশটি ৩৭২ টন মাংস দান করেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই মাংস দেশের ৬৪টি জেলার ৯৫টি অঞ্চলে এতিমখানা, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের এই সহযোগিতা উভয় দেশের জন্যই ফলপ্রসূ। বাংলাদেশ প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক শ্রমিক রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, যা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে। অন্যদিকে, সৌদি আরব তাদের উন্নয়ন প্রকল্প ও আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমশক্তি পাচ্ছে।
ঢাকা আশা করছে, সৌদি আরবে শ্রমশক্তি রপ্তানির এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এই সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর করবে এবং উভয়ের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।