বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কাকরাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন দুর্নীতির উদাহরণ তুলে ধরে ড. আসিফ নজরুল বলেন, “দুদক এবং উচ্চ আদালত ছিল, কিন্তু কি কোন বিচার হয়েছে? বিচার হতো মূলত বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। তিন কোটি টাকা এক জায়গায় রাখার অপরাধে, যেখানে প্রক্রিয়াগত ভুল ছিল, সেখানে কেউ আত্মসাৎ করেনি। অথচ তিন কোটি টাকা ব্যাংকে রেখে তা বেড়ে ছয় কোটি হয়ে যায়, কিন্তু কোনো টাকা আত্মসাৎ হয়নি। এই জন্য তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হলো।”
তিনি আরও বলেন, “এই দেশে যিনি চোর প্রধানমন্ত্রী, তার পুরো পরিবার ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত। সেই প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে প্রচার চালাতেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে। অথচ এই চোরের মুখে কেউ কথা বলার সাহস পেতো না। দুদক এবং বিচার বিভাগ তার অধীনে দাসের মতো কাজ করতো।”
আরও পড়ুন
ড. আসিফ নজরুল দাবি করেন, বিচার না হওয়ায় দুর্নীতি সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি দুদকের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা এমন এক পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারেননি, যেটি এক্সকিউজ হিসেবে তুলে ধরতে পারেন। তবে এখন সেই পরিবেশ বদলে গেছে। এখন কোনো উপদেষ্টা বা কর্মকর্তার পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপ করা হয় না, তাই আপনারা প্রমাণ করুন যে, ভালো পরিবেশ পেলে ভালো কাজ করতে পারেন।”
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, “রাজনীতিবিদদের অবশ্যই আমরা দায়ী করব, কিন্তু এই দোষারোপের মাধ্যমে নিজেদের অন্যায় থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করবেন না। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমরা সৎ আছি কি না?”