অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি অ্যাসাইলাম (রাজনৈতিক আশ্রয়) আবেদনকারীরা বর্তমানে ই-পাসপোর্ট থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ও সিডনির কনস্যুলেট—উভয় মিশনই এ ধরনের আবেদন গ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে। ফলে শত শত বাংলাদেশি নাগরিক চিকিৎসা, শিক্ষা ও অভিবাসন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে না পেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সিডনির লাকেম্বায় বসবাসরত এক শিক্ষার্থী জানান, তার স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে তিনি নিরাপত্তার জন্য অ্যাসাইলামের আবেদন করেছেন। কিন্তু এর মধ্যেই তার পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় নতুন পাসপোর্ট পেতে কনস্যুলেটে গিয়ে ব্যর্থ হন। তিনি বলেন, “আমি যেন না অস্ট্রেলিয়ার, না বাংলাদেশের—দুই দিক থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি।”
পাসপোর্ট না থাকায় অনেকেই সন্তানদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে কিংবা প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তির আবেদন করতে পারছেন না। সিডনিতে এক অভিভাবক জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টের কারণে সন্তানের চিকিৎসার কাগজপত্র বারবার জমা দিতে হচ্ছে, ফলে চিকিৎসা প্রক্রিয়া জটিল হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ নিজামউদ্দীন বলেন, “অ্যাসাইলাম আবেদন একটি বৈধ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রক্রিয়া। সেই কারণ দেখিয়ে নাগরিকদের পাসপোর্ট না দেওয়া মানবাধিকারের পরিপন্থী।” তিনি আরও বলেন, “এতে বরং দেশের ভাবমূর্তিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
এ বিষয়ে সিডনির কনসাল জেনারেল মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, “আমরা সমস্যাটি সম্পর্কে অবগত। তবে অ্যাসাইলাম আবেদনকারীদের পাসপোর্ট ইস্যু করার ক্ষেত্রে এখনো সরকারি কোনো নির্দেশনা পাইনি।” তিনি জানান, নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত পূর্বের নীতিমালাই বহাল থাকবে। বিষয়টি নিয়ে দুই মিশনই সরকারের দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে।